পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয়। সেজন্য সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী গাড়ি পথে থামানো যাবে না। পাশাপাশি মাস্ক ব্যতীত কেউ পশুর হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
আজ বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে সকল ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে আইজিপি এ বার্তা দেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশুবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে। কোরবানির পশুবাহী গাড়ি অথবা ট্রলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া থামানো যাবে না। হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কোরবানির পশুবাহী গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে ক্যাম্প স্থাপন করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি। বেনজীর আহমেদ বলেন, পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে স্বাভাবিক ট্রাফিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তল্লাশির নামে কোনো গাড়ি থামানো যাবে না।
তিনি বলেন, ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সে ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাস এবং অন্যান্য পরিবহনে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। যাত্রা শুরুর প্রান্তেই সব ধরনের পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়ক, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার, করিমন, নসিমন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু কিছু অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধ বন্ধের লক্ষ্যে টহল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।