টাঙ্গাইলে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে ২০ হাজার বেশি

Slider বাংলার মুখোমুখি


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ কোরবানির পশুর হাট হাতছানি দিচ্ছে। গরু-ছাগল উৎপাদনে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই স্বয়ংসম্পুর্ন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, “কোরবানির জন্য ৭৩৫৪৭ পশুর প্রয়োজন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় ২০ হাজার পশু অতিরিক্ত রয়েছে। জেলায় ৯০৪৭৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬৪০৬২ টি গরু,মহিষ, ২৬৪১০ টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৫টি।”

গত বছর চাহিদা ছিল ৪৭০৫২টি পশু। এর মধ্যে প্রস্তুত ছিল ৪৭০৫৩ টি পশু। আর এ বছর টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৬০৬৫ টি, বাসাইলে ১০০৫০ টি, দেলদুয়ারে ৩৩৮৬টি, নাগরপুরে ৭৫৮৫টি, মির্জাপুরে ৩৬৯১টি, কালিহাতীতে ৯৯২৩টি, সখিপুরে ১৪১৬১টি, ঘাটাইলে ৫০১৯টি, মধুপুরে ২২১৩ টি, ভুঞাপুরে ১০৬০২ টি, গোপালপুরে ৪৪৯২টি ও ধনবাড়ি উপজেলায় ৩৩৩৫ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ আব্দুল মোতালেব জানিয়েছেন, “এবছর করোনার কারনে পশুর হাট তেমন জমছেনা। এতে খামারীদের লকসান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। জেলায় কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে।”

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ মাহফুজুল হক জানিয়েছেন, “টাঙ্গাইল সদরে কোরবানির পশুর ১২০৩৮ টি চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত করা হয়েছে ১৬০৬৫ টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৫২৭২টি ষাড়, ৮১২টি বলদ, ৭১৩টি গাভী, ১৩টি মহিষ, ৮৩৬০টি ছাগল, ৮৯০টি ভেড়াসহ অন্যান্য ৫টি পশু। তবে করোনাভাইরাসের কারনে খামারীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।”

আর এদিকে ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন পশুর হাটে গবাদি পশুশুন্য লক্ষ করা যাচ্ছে। হাটে তেমন গরু উঠছেনা। আবার অনেক হাটে দেখা যায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় হাট ব্যবসায়ীরা দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *