খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনা যৌক্তিক: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

60125_pm
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, ঘর-বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ হত্যার হুকুম দিচ্ছেন। তার হুকুমেই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ হত্যার ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণই যুক্তিযুক্ত। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারের উন্নয়নে ভীত হয়েই বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতা ও দেশে অরাজকতা করার চেষ্টা করছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদেরকে যেখানেই পারেন ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নাশকতার পূর্ব তথ্য সরবরাহ করে জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও নির্বাচন বানচালের নামে শত শত মানুষকে হত্যা করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। নৃশংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন তিনি। তবে নির্বাচনের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়। দেশকে আমরা সবদিক থেকে এগিয়ে নিচ্ছি, জাতীয়-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন পরিচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ যখন একটু শান্তির মুখ দেখছে, উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে, দু’বেলা খেয়ে-পরে স্বস্তিতে রয়েছে, ঠিক তখনই হঠাৎ করে কোন ইস্যু ছাড়াই খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা শুরু করেছেন। ২০১৩ সালের মতো পুনরায় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা শুরু করেছেন। ইসলাম ধর্মেও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা সমর্থন করে না। অথচ উনি হুকুম দিয়ে মানুষ খুন করাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *