অনেকটা বাধ্যতামূলকভাবেই করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের৷ যারা ইতালিতে ফিরেছেন শুধু তারাই নয়, যারা আগে থেকে বসবাস করছেন তাদেরকেও করোনা সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে৷
ইতালির রোমে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবার করোনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় বাংলাদেশীদের। সেখানকার একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, অন্য বিদেশিদের জন্য না হলেও বাংলাদেশীদের পরীক্ষা এখন বাধ্যতামূলক৷ গত কয়েকদিনে সেখানে সাত হাজারের বেশি প্রবাসী করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন৷ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে৷ কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, বাকিরা ফেরত আসাদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন৷
প্রবাসীদেরকে তাদের কর্মস্থল থেকেও করোনা পরীক্ষা করাতে বলা হচ্ছে৷ রাকিব নামে একজন বলেন, ‘‘আমি দেশে যাইনি৷ কিন্তু দুই দিন আগে আমার ‘বস’ বলেছেন, যেসব বাঙালিরা রেস্টুরেন্টে কাজ করে তাদের সবার পরীক্ষা করতে হবে৷ সেইজন্যেই আসা৷’’
শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে গিয়ে কিছু বাংলাদেশী কোয়ারান্টাইনের শর্ত মানেননি৷ ‘সম্ভবত’ তাদের কেউ কেউ সেখানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন৷
পরীক্ষা করাতে আসা জামাল নামে একজন বলেন, প্রবাসীরা যদি নিজেরা সতর্ক থাকতেন তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না৷
‘‘আমাদের নিজেদের দোষেই এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ এ কারণে বাধ্যতামূলকভাবে এখন সবার করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে৷’’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে লাৎসিও অঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশীর সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হচ্ছে৷ সেখানে গত এক সপ্তাহে পাঁচ হাজার জনের পরীক্ষার মধ্যে ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে৷
মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ১ জুলাই চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ফিরেছেন৷ তিনি জানান, ১৭ দিন বাসায় থাকার পর বিস্তারিত জানতে সরকারি কার্যালয়ে ফোন করেছিলেন৷ সেখান থেকেই তাকে পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে যেতে বলা হয়েছে৷
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশসহ মোট ১২টি দেশ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইতালির সরকার৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে