ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের বেপরোয়া ক্যাডারদের ভয়াল তাণ্ডবে দেশবাসী বিমূঢ়, হতভম্ব ও আতঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বন্য প্রতিহিংসার এমন ভয়াবহ চিত্র অন্য কোনো দেশে বিরাজমান আছে কী না সন্দেহ। বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে আবারো তাদের হত্যার নেশায় পেয়েছে।
আজ বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রিজভী এসব কথা বলেন। ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আবারও কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে। এরই মধ্যে দশের অধিক বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ, সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী করছে পুলিশ-র্যাব। বাড়িতে গিয়ে যাকেই পাওয়া যাচ্ছে তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তোবা সেখানেই অথবা অন্যকোন অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা রাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও নড়াইল পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলিকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশকে হত্যা ও লাশের মহামারীর দেশে পরিণত করার জন্য পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে।
তিনি আরো বলেন, এই ভোটারবিহীন সরকার এজেন্টদের দিয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কব্জা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধুম চালানো হচ্ছে।