রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সকালে রিমান্ড শুনানিতে তার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন শাহেদ। বিচারকের উদ্দেশে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমি কি একটা কথা বলতে পারি? আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত। আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন।
শাহদে আরো বলেন, আমি মার্চে প্রথম দিন যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাই, তখন তারা আমাকে আমার হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করতে বলেন। তখন আমি বলি আমার লাইসেন্সের ঘাটতি আছে। তখন তারা বলে যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন।
আমি তাদের কথা মতো টাকা জমা দেই। সারা দেশে করোনা চিকিৎসার কাজ বেসরকারিভাবে আমরাই শুরু করেছি। তারপরও আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শাহেদ ও তার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ ও শাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে শাহেদ-মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।