সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর এতে টাঙ্গাইল জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, কালিহাতী ও নাগরপুর উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তীব্র স্রোতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে পানিবন্দি এসব এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির আউশ ধান, পাট, তিল আর সবজি। এতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার (১৪ ই জুলাই) টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”
টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, “ভূঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এবং ভূঞাপুর পৌরসভার একাংশ ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়েছে।”
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায় যে, “টাঙ্গাইল জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ১৭৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগই যমুনার চরাঞ্চলে।”