বিল্লাল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে রোজী রোজগার। অনেক কষ্ট করেই দিন রাত পার করতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। এদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী তাদের জীবন আরও বেশি কষ্টের। এদিকে রাতে বন্ধ হয়ে গেছে আশে পাশের সব দোকানপাট। ঘরের খাবারও ফুরিয়ে গেছে। তাই নিরুপায় হয়ে রাতের আঁধারে মুঠোফোনে এক প্রতিবন্ধী ছেলে নরসিংদীর পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনকে বিষয়টি জানান। তিনি আরও জানান আমার বাড়ির আশে পাশে অনেকই খাবারের জন্য অনেক কষ্ট করে দিন পার করে যাচ্ছেন। আমরা শুনেছি আপনি অনেককেই খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
ওসি বিষয়টি জানার পর রাতেই নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে জানান। তিনি তৎক্ষণাৎ ওসিকে নির্দেশ দেন ঐ পরিবারসহ আশে পাশে যারা আছেন তাদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য। রাতে ৯ টি দরিদ্র পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে হাজির হলেন ওসি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন। সোমবার (১৩ জুলাই) রাতে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের চর মাহমুদপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধীর ফোন পেয়ে এসব পরিবারের মাঝে খাবার পৌছে দেন।
ওসি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, ঘরের খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে জানালে পুলিশ সুপারকে সমস্যার কথা জানায়। নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশনায় রাতেই মাঝের চর গ্রামে ৯টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, সকল দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ পুলিশ পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে আছে এবং থাকবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অসহায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এসময় নিত্যপ্রয়জনীয় খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে
তারা জানায়, ফোন পেয়ে ওসি স্যার বললেন, চিন্তা করোনা, বাসায় অপেক্ষা করো আসছি। কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে খাবার নিয়ে আসবে। রাতেই খাবার নিয়ে আসলেন। এ খাবার পেয়ে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।