সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর পৌরসভার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক বংশাই রোড। তিন চার বছর ধরে জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে রোডটি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই রোডের মাত্র তিনশ ফুট রাস্তা মহাদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। রাস্তাটিতে চলাচলকারী হাজারো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জানা গেছে যে, “২০০০ সালে মির্জাপুর পৌরসভা গঠিত হয়। বর্তমানে মির্জাপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু নাগরিক সেবার মান তেমন বাড়েনি। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেনি। মির্জাপুর পৌরসভার আংশিক ও উপজেলার লতিফপুর, তরফপুর, বাঁশতৈল, আজগানা ও ফতেপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। বংশাই নদীর ওপর সেতু নির্মিত হওয়ার পর এই সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলও বৃদ্ধি পেয়েছে।”
সখিপুর, বাসাইল, ঘাটাইল ও ময়মনসিংহের কয়েকটি উপজেলার মানুষ ওই সড়ক দিয়ে মির্জাপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। কিন্তু মির্জাপুর বাইপাস বাস স্টেশন ও রেল ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী মাত্র তিনশ ফুট রাস্তা মানুষের সেই চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক নির্মাণ এবং পরবর্তীতে তা চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর ওই রাস্তাটুকু নিচু হয়ে যায়। ফলে রাস্তাটি পাকা করা হলেও মাটি ভর্তি ভারি ট্রাক চলার কারণে তা অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে পূর্বের অবস্থায় চলে আসে। এতে শুরু হয় মানুষের দুর্ভোগ। প্রায় তিন চার বছর যাবত এই দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
শুকনো মৌসুমে ধুলার কষ্ট কোনো রকম সহ্য হলেও বৃষ্টির দিনে ওই রাস্তাটুকু চরম জনদুর্ভোগে পরিণত হয়। রাস্তাটুকু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ওই সড়কের ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কিছুটা সংস্কার করলেও সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে যায়। যার ফলে বন্ধ রাখতে হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বংশাই রোডের ওই স্থানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, “রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কষ্ট থাকলেও বেশি কষ্ট হয় এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত মানুষের দুর্ভোগ দেখে।”
আর ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী পাথরঘাটা গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক তোফাজ্জল হোসেন, বড়দামের রফিক মিয়া, ইজিবাইক চালক রুস্তম বলেছেন,”রাস্তার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির মৌসুমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।”
মির্জাপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা জানিয়েছেন, “স্থানীয় এমপি মো. একাব্বর হোসেন জেলা পরিষদের মাধ্যমে ওই রাস্তাটুকুর উন্নয়ন কাজ করাবেন বলে জানিয়েছেন।”