গাজীপুর: গাজীপুর জেলার উত্তর সীমানার শ্রীপুর থানার কাওরাইদ রেলষ্টেশন থেকে রেললাইন হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি পরিপূর্নভাবে নির্মান করা হয়নি। মাঝে মাঝে পাকা থাকলেও অনেক অংশে পাকার বালাই নেই। রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটি নির্মান হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে সীমাহীন। সাশ্রয় হবে সমযও। বেড়ে যাবে কর্মঘন্টা।
অধিক জনগুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি নির্মানের জন্য গণমানুষের দাবী দীর্ঘ সময়ের। ইতোমধ্যে মানববন্ধনও করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। অথচ জনপ্রতিনিধিরা এই বিষয়ে কোন কথাই বলেননি। সরেজমিন দেখলে মনে হয়, এই রাস্তাটিই গাজীপুরের একাধিক জনপ্রতিনিধির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সব উন্নয়নকে ছাপিযে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই রাস্তাটি দ্রুত নির্মান না করলে একাধিক জনপ্রতিনিধির ইমেজ হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
সরেজমিন দেখা যায়, কাওরাইদ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটির অনেকটুকুই পাকা। শুধুমাত্র রাস্তাটির নামকরণ করে নির্মান করলেই হয়ে যায়। এই রাস্তার পরিধির মধ্যে গাজীপুর-২ আসন, গাজীপুর-৩ আসন। আওতায় পড়ে গাজীপুর সিটিকর্পোরেশন, গাজীপুর সদর উপজেলা, শ্রীপুর পৌরসভা ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ। রাস্তটি নির্মান না হওয়ায় প্রতিদিন অংসংখ্য মানুষের গালাগালিজের কারণ হয় জনপ্রতিনিধিরা। যখন কোন মানুষ বা যানবাহন গর্তে পড়ে তখনই শুরু হয় গালিগালাজ। রাষ্ট্রের মালিক জনগন তাদের সেবকদের গালিগালাজ করবে এতে আপত্তি করার তেমন কিছু নেই।
সাধারণ মানুষের দাবী, অনতিবিলম্বে এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি নির্মান করে হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের সুবিধার আওতায় আনা উচিত। এই রাস্তাটি নির্মান হলে গাজীপুরের উত্তর অংশই শুধু নয়, গাজীপুর জেলার তিনিট উপজেলা সহ আশ-পাশ জেলার মানুষও উপকৃত হবে। বিশেষ করে জরুরী যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত হবে। এতে বেশী উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ। এই রাস্তাটি নির্মান হলে প্রান্তিক কৃষকেরা নায্য মূল্য পেতে তাদের কৃষিপন্য দ্রুত ও সহজে শহরে আনতে পারবেন এবং জরুরী সেবাদানকারীরা কম সময়ে তাদের সেবাকাজ করতে পারবেন। জেলার দূরবর্তি নাগরিকেরা কম সময়ে ও অনেক সহজে জেলা উপজেলায় যাতায়াতও করতে পারবেন।
এ ছাড়া জরুরী রোগী, অগ্নিনির্বাপক যানবাহন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে বিনা যানজটে পৌঁছতে পারবে।
গাজীপুর জেলার উত্তর এলাকার মানুষের দাবী, জরুরী ভিত্তিতে রেললাইন সংলগ্ন রাস্তটি নির্মান করার ব্যবস্থা করা হউক।