ঢাকা: আসন্ন কোরবানির ঈদে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পশুর হাট স্থাপন না করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শর্ক কমিটি। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি জাতীয় পরামর্শ কমিটি ১৪তম অনলাইন সভায় এ প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জাতীয় পরামর্শক কমিটি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। কমিটি মনে করে, ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবন যাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পরামর্শক কমিটি ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরামশ দিয়েছে।
ঈদে পশুর হাট বসার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সুপারিশ করেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন না করা হয়।
এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় সংক্রমণ প্রতিরোধ নীতিমালা পালন সাপেক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানো যেতে পারে।
এদিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধে ঈদের ছুটির সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে অন্যান্য স্থানে যাতায়াত বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত নন এমন প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ইউনিট গঠন বিষয়ে আলোচনা হয় ও অতিসত্ত্বর উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। প্রবীণদের বাড়ী থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রস্তুতের বিষয়টিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটি স্বাগত জানায়। তবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে কমিটির পরামর্শ থাকবে যে, ভ্যাকসিন প্রস্তুত অথবা আবিষ্কার অবশ্যই সরকার, বিএমআরসি ও ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করে করতে হবে।
কোরবানি পশুর হাট স্থাপন ও পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে নীচের নিয়মসমূহ অনুসরণ প্রয়োজন:
>> কোরবানির পশুর হাট শহরের অভ্যন্তরে স্থাপন না করা।
>> কোরবানি পশুর হাট খোলা ময়দানে হতে হবে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
>> বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বয়সোর্ধ্ব) এবং অসুস্থ ব্যক্তি পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
>> পশুর হাটে প্রবেশ ও বাহির এর পৃথক রাস্তা থাকতে হবে।
>> পশুর হাটে আগমনকারি সকল ব্যক্তির মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
>> কোরবানি পশু জবাই বাড়ীতে না করে শহরের বাহিরে সিটি করপোরেশনের দ্বারা নির্ধারিত স্থানে করতে হবে।
>> অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বাড়ীর বাহিরে কোরবানি দেয়া সম্ভব হলে, তা করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।