প্রেমে না বলায় বাবা-মেয়ে খুন স্ট্রোক করে মারা গেলেন দাদাও

Slider নারী ও শিশু

Akhi

গাজীপুর: নবম শ্রেনীর ছাত্রী আঁখি(১৫) প্রেমের প্রস্তাবে না বলায় নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আহত বাবাও একই দিন হাসপাতালে মারা গেলেছেন। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় আজ মঙ্গলবার ভোরে নাতনী ও ছেলের শোক সইতে না পেরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন আঁখির দাদাও। আর ওই হৃদয় ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাজারো ছাত্র জনতা মানববন্ধন করলেন খুনীদের গ্রেফতারের জন্য।

মঙ্গলবার(২০ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পযন্ত গাজীপুর সদর উপজেলার উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হাজারো জনতার অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল মানববন্ধন। মানব বন্ধনে এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগ দেয় আঁখির সহপাঠিরাও। তাদের একটিই দাবি অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।

আঁখির পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ট মানবাধিকার কমী মোঃ হাতেম আলী জানান, ২০ জানুয়ারী মঙ্গলবার ভোরে আঁখির দাদা আলাউদ্দিন আলাল(৭৫) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ১৫ জানুয়ারী নাতনী ও ছেলে নৃশংসভাবে খুনের পর তিনি প্রথম স্ট্রোক করেন। কিছু সময় পর ভাল হয়ে গেলেও মঙ্গলবার ভোরে তিনি আবার স্ট্রোক করেন। তবে এবার আর ফিরেননি। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জানাযা শেষে আলাউদ্দিন আলালকে ছেলে ও নাতনীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।

বৃহসপতিবার(১৫জানুয়ারী) ভোররাতে গাজীপুর সদর উপজেলার উত্তর সালনা গ্রামে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঁখি আক্তার(১৫) কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। মেয়েকে বাঁচাতে এসে আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যায় আঁখির বাবা সাইফুল ইসলাম(৫০)। নিহতদের বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন উত্তর সালনা গ্রামে। আঁখি স্থানীয় ফসিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্র্রেনীর ছাত্রী ছিল।

 

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা(ওসি) রেজাউল হাসান  বলেন, এই ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুল অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *