ঢাকা:বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ক্রসফায়ার। গত পাঁচদিনে ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন বিরোধী জোটের তিন নেতা। তাদের মধ্যে দু’জন ছাত্রদল আর একজন জামায়াত নেতা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন দু’জন। আর র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। ডিবির ক্রসফায়ারের সর্বশেষ শিকার খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি। গত রাতে খিলগাঁও জোড়াপুকুর মাঠে ডিবি পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন তিনি। নিহত জনির বাবা ইয়াকুব আলী জানান, ছোট ভাই মনিরুজ্জামানকে দেখতে সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যায় জনি। সেখান থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে নড়াইলের পৌর কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস ঢাকায় ডিবির ক্রসফায়ারে নিহত হন। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনির কাঁচাবাজার এলাকায় ক্রসফায়ারে নিহত হয়ে অজ্ঞাত হিসেবে সেখানে ছিল তার লাশ। একটি নয়, দু’টি নয়, ১০টি বুলেটে বিদ্ধ হয় তার বুক। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা তার লাশ শনাক্ত করেন। পরিবারের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পর ঠা-ামাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যে চাঁপাই নবাবগঞ্জের কানসাটে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন আরেক ছাত্রদল নেতা। নিহত মতিউর রহমান শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। বিএনপির দাবি, গ্রেপ্তারের পর পরিকল্পিতভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিঞা বলেন, মতিউর রহমানকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা বা একটি জিডিও ছিল না।
এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত