নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রতিবেশীর সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে দিনে দুপুরে শিক্ষক ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের ছয় নারী-পুরুষকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় লাকচতল ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত বুধবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের লাকচতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সামিউল কায়সার শামীম,ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পলাশ মাহমুদ আরফান, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রুমা নাসরীন, নুর মোহাম্মদ মাস্টার, জমিলা খাতুন (৭০), শিশু আফরিন মৌ (১৩) ও রেজুয়ানা তামিম (১২) ।
পুলিশ ও আহতের স্বজনরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী সুমন বেপারী, মনু, সাইদুর বেপারী, সিরাজুল বেপারী, আরজু বেপারী, রাসেল বেপারী ও তার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে নুর মোহাম্মদ মাস্টার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি সে বিরোধের জের ধরে বুধবার ১১টার দিকে সুমন ও উল্লেখিত অভিযুক্তদের নেতৃত্বে নুর মোহাম্মদ মাস্টারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শামীম ও পলাশের মাথায় গুরুতর জখম করে। এছাড়াও অভিযুক্তদের লোহার রডের আঘাতে রুমা নাসরীন,নুর মোহাম্মদ মাস্টার, জমিলা খাতুন, শিশু আফরিন মৌ ও রেজুয়ানা তামিম আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। সেখানে তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মইনুল আতিক জানান, আহতদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে শামিউল কায়সার শামীম (মাথায় ৪৮ টি সেলাই হয়েছে) ও পলাশ মাহমুদ আরফানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার প্রয়োজনে অভিযুক্ত সুমন বেপারীর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) রফিকুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনায় শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর সুমন বেপারীও আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে, শিক্ষক পরিবারের কয়েকজন গুরুতর বিধায় আসামি ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে দায়ীদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান চলমান।