করোনাকালে চাকরি হারিয়ে অভাব-অনটনে পড়েন আনোয়ার হোসেন মান্নান। হতাশা ও মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ থেকে রেহাই পেতে তিনি কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন বলে জানান, পল্লবী থানার এসআই নূরে আলম। পারিবারিক সুত্রের বরাতে তিনি এ তথ্য জানান। রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা মান্নান। স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন। চাকরি করতেন মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের একটি গার্মেন্টে। করোনার কারণে গত ১০/১৫ দিন আগে তার চাকরি চলে যায়।
গত বুধবার নিজ বাসায় তিনি কীটনাশক পান করেন। গুরুতর অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে স্বজনরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে, পুরনো ঢাকার চকবাজারে আসিয়া আক্তার শান্তা (২১) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পল্লবী থানার এসআই নুরে আলম জানান, আনোয়ার হোসেন মান্নান চাকরি হারানোর পর হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। এদিকে, চকবাজারের খাজেদেওয়ান প্রথম লেনের ২৮ নম্বর বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আসিয়া আক্তার শান্তা। এ ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন আসিয়া ও তার স্বামী আরিফুল। ভোর রাতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান তার স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে তার মৃতদেত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আসিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।