তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Slider জাতীয়

fakrul_sm_745731068

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ছাদাতের আদালত। আগামী ৫ মার্চ গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে ‘কুলাঙ্গারের দল’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কুলাঙ্গার দলের নেত্রী’ বলায় গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

ওইদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঘটনাটি তদন্ত করে ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পল্টন থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নিয়ে মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ। প্রতিবেদনে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় এজাহার হিসেবে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’, গত ২ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকারকরা তেলবাজ’ বলে বক্তব্য রেখেছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই সকল বক্তব্য গত বছরের ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন। এসব জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। ওই সকল মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে তারা দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে ৫শ’ কোটি টাকার মানহানি করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। মানহানিসহ বিভিন্ন ধরনের মামলায় লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশজুড়ে আরও বেশ কয়েকটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *