ঢাকা: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন শিশু ৫ জন মহিলা ও ২৩ জন পুরুষ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দক। তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড এর উদ্ধার অভিযান চলমান। অনেক মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে একটি ভাল ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত।
রাজধানীর ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ময়ূর-২ নামে একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামে ওই লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, কুমিল্লা ডক এরিয়ার পাশে লঞ্চটি ডুবেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামে ওই লঞ্চটি ডুবে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুইতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।