ফটোসংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দু’দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ভার্চুয়াল আদালত। আজ রোববার মহানগর হাকিম দেবাশীষ চন্দ্র অধিকারী দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। হাজারিবাগ থানায় করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের এসআই মো. রাসেল মোল্লা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় কারাগার থেকেই সাংবাদিক কাজলকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়।
আদালতে প্রথমে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিক কাজলের জামিন চেয়ে ও রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করে বলেন, কাজলকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাসেল মোল্লা আদালতকে বলেন, কাজলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে রিমান্ড দরকার। এ সময় সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের এসআই এস আশ্রাফ আলীও জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবাশীষ চন্দ্র অধিকারী সাংবাদিক কাজলের জামিন আবেদন বাতিল ও দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
চলতি বছরের গত ১০ই মার্চ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক উসমিন আরা বেলী মামলাটি দায়ের করেন। নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে শফিকুল ইসলাম কাজল নানাবিধ স্ট্যাটাস দেন। ১০ই মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২রা মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন ৩রা মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে হাজারিবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে গত ২৪শে জুন শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য শিখরের দায়ের করা মামলায়ও তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।