নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা ইমরুল কায়েস (৩৫) ঢাকায় পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরের দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনীর কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইমরুল কায়েস নড়াইল পৌর এলাকার ডুমুরতলার আনোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে।
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দু’দিন আগে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ঢাকা থেকে ইমরুল কায়েসকে আটক করা হয়। পরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ইমরুল কায়েসের ভাই ওয়েজ জানান, সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফোনে তার ভাইয়ের নিহতের খবর জানতে পারেন। পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে ইমরুলের লাশ গ্রহণ করে বিকেলে নড়াইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ইমরুল কায়েসের স্ত্রী ও তিনবছরের এক মেয়েসহ বাবা-মা, ভাইবোন রয়েছে। ইমরুল এলএলবি ফাইনাল পরীক্ষার ফলপ্রার্থী ছিলেন।
ইমরুলের নিহতের ঘটনায় তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে। তার স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিন বছরের অবুঝ শিশুকন্যা ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে সবার দিকে। ইমরুলের ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেশিরা জানান, ইমরুল কায়েস এলাকায় খুব জনপ্রিয় ও পরোপকারী ছিলেন। ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে ইমরুল প্রায়ই এলাকার বাইরে থাকতেন। তার স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের লোকজন নড়াইলের বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন।
এদিকে, ইমরুল কায়েসের নিহতের ঘটনায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মির্জা আশেক এলাহী ও সেক্রেটারি আবু ফাইজা এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি কেএম হাসান ও সেক্রেটারি খান আব্দুস সোবহানসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইমরুল কায়েস নড়াইলের আব্দুল হাই ডিগ্রি কলেজের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন। পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর নড়াইলে পুলিশ পেটানো মামলার আসামি ছিলেন ইমরুল কায়েস। রাত ৮টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত ইমরুলের লাশ নড়াইলের বাড়িতে পৌঁছায়নি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।