নবগঠিত এবি পার্টি নিয়ে কৌতূহল চারদিকে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী কিভাবে দেখছে দলটিকে। কারণ এই পার্টির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বেশিরভাগই এক সময় জামায়াতের নেতাকর্মী ছিলেন। এই অবস্থায় হঠাৎ করেই মুখ খুললেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় তার দলের অবস্থান ব্যাখা করেছেন। কি বলেছেন জামায়াত আমীর বিস্তারিত পড়ুন –
আমার এই ভাইটি জানতে চেয়েছেন এবি পার্টি সম্পর্কে। কিছু লোক এটার সাথে যোগাযোগ রাখে তাদের ব্যাপারে আমাদের করণীয় কি? এই পার্টিটা গঠন হয়েছে গতমাসের ২ তারিখে, মে মাসের ২ তারিখে। তারা তাদের দলীয় মেনিফেস্টো ঘোষণার সময় ঐদিনই বলেছেন- এই পার্টির নীতি হবে, কর্মকৌশল হবে তিনটা জিনিষের উপর ভিত্তি করে সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবাধিকার। এটার উপরে তারা কাজ করবেন।
সম্মানিত ভাইয়েরা, তারা তাদের সেশনে বলেছে, পরিস্কার করে বলেছে যে, তাদের কর্মসূচিতে তাদের এজেন্ডায় ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধের এই চ্যাপ্টার থাকবেনা। এটাকে বাদ দিয়েই হবে তাদের সবকিছু। ফলে আমাদের আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। আমাদের ভাইয়েরা একেবারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। কারণ দ্বীন তাদের সাবজেক্ট নয়। আর দ্বীনটাই আমাদের সাবজেক্ট। এই জায়গায় এই ভাইদের সাথে আমাদের আদর্শিক পথ একেবারে আলাদা হয়ে গেল। এখন তারা একসময় আমাদের ভাই ছিলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ ছিলেন। এখন আমরা কী করবো এই ভাইদের ব্যপারে? আমরা তাদের জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ যেন তাদের কে দ্বীনের পথে আবার পরিপূর্ণ ভাবে ফিরাইয়া আনেন। মুসলমানের জীবন কখনো খণ্ডিত হতে পারেনা। তার জনম থেকে ওফাত পর্যন্ত তার প্রত্যেকটি অবস্থান হবে দ্বীনের ওপরে কোরআনের গাইড লাইন অনুযায়ী রাসুলে করীম (সা) এর সুন্নাহ মোতাবেক। এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় জুড়ে দেয়ার কোন সুযোগ নাই। জোড়া তালির কোন সুযোগ নাই। দ্বীনে এলাহিরও কোন সুযোগ নাই। সুযোগ একটাই সেটা হলো আল্লাহর দ্বীন মেনে চলা পরিপূর্ণভাবে। কারণ আল্লাহ তায়ালা এই দ্বীনটাকে একেবারে পরিপূর্ণ এবং এটাকে একেবারে খণ্ডিত করতে আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেছেন। ‘আফা তু মিনুনা বি-বা’দিল কিতাব অ তাক ফুরুনা বিবাদ” আল্লাহ তার একটা অংশকে ঈমান আনা আর একটা অংশ কে তাকফির বা অস্বীকার করাকে চরমভাবে ঘৃণা করেছেন। এর সুযোগ আমাদের নেই। তাই এই ভাইদের জন্য দরদভরা মন নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। তাদের সাথে কোন বিতর্কে জড়ানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রিয় সঙ্গী সাথীরা যারা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য, আখেরাতে আল্লাহ তায়ালার থেকে নাজাত পাওয়ার আশায় প্রিয় জান্নাতে যাওয়ার আশায় এবং দুনিয়াকে জান্নাতময় দ্বীনের আলোকে করার আশায় যারা এখানে এসেছেন সে সমস্ত ভাইদের প্রতি আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, তাদেরকে কাছে টেনে রাখতে হবে।কেউ কারও অসওয়াসায় পড়ে তারা যাতে নিজেদের ভবিষ্যত হারিয়ে না ফেলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে না যান, এইজন্য পেরেশানীর সাথে তাদেরকে ধরে রাখতে হবে সাহচর্য দিতে হবে এটাই আমাদের কাজ।
তাদের সাথে কোন বিতর্কে জড়াবেন না। তাদের কোন প্রশ্নের জবাব দেবেননা। তাদের সঙ্গে অবশ্যই ফেসবুক চ্যাটিং এ লিপ্ত হবেন না। পজিটিভ ও না নেগেটিভ ও না। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। আর যার যেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে তাদেরকে বুঝান দ্বীন ছাড়া মুক্তির আর কোন জায়গা নাই। দুনিয়াতেতো নাই আখেরাতে তো একেবারেই নাই।