কোরিয়ায় ফেরা ৭ বাংলাদেশীর করোনা শনাক্ত

Slider টপ নিউজ

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের পরীক্ষা করে কমপক্ষে ৯ জনকে করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি ও দু’জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। বার্তা সংস্থা ইয়ানহোপ এ খবর দিয়ে বলেছে, শুক্রবার কর্তৃপক্ষ এ খবর নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশি তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা জেজু ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে কোরিয়ান এয়ার ফ্লাইট কেই ৯৬৫৬ উড্ডয়ন করে। তা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে পশ্চিমে ইনচেওন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৩২ মিনিটে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, জিজু, ইনচেওন, পাজু, মামিয়াংজু এবং নর্থ জেওল্লা প্রদেশের বিভিন্ন স্ক্রিনিং সেন্টারে করোনা পরীক্ষার আগে তারা যার যার আবাসনে চলে যান।
এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যোগ দিতে ইনচিওন এয়ারপোর্ট এবং সিউলের গিমপো এয়ারপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশি ১৮ জন শিক্ষার্থীর একটি গ্রুপ উড়ে যান চিজু হালা ইউনিভার্সিটিতে। জিজু বিমানবন্দরে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিন জনকে করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে জিজু প্রাদেশিক সরকার। জানানো হয়, আক্রান্ত এসব শিক্ষার্থীর কারো মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণই ছিল না। আরেকজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল নিশ্চিত হওয়া যায় নি। কারণ, তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এবং নেগেটিভ মানের মাঝামাছি রয়েছে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে তাকে আরো পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। বাকি ১৪ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত নন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষার্থী ইনিচিওন বিমানবন্দর থেকে সিউল বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া করেন। এরপর তারা গিমপো ইয়ারপোর্ট থেকে জিজুতে যাওয়ার জন্য চারটি ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইট ব্যবহার করেন। করোনা আক্রান্ত তিনজন শিক্ষার্থী জিজু এয়ারপোর্টে পৌঁছেছেন টিওয়ে ফ্লাইট টিডব্লিউ৭১৩ এবং জিজু এয়ারস ফ্লাইট ৭সি১১৭ মাধ্যমে।
উপরন্তু বাংলাদেশি চারজন অভিবাসী শ্রমিকের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ইনচিওন, পাজু, নামওন এলাকায়। আক্রান্ত শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার কোরিয়ান এয়ারের একই ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, আরো চারজন বাংলাদেশির পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে করোনা নেগেটিভ এসেছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, একই ফ্লাইট ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরা ১৩ বছর বয়সী একটি কোরিয়ান শিশুর দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। গত আগস্ট থেকে সে বাংলাদেশের একটি স্কুলে পড়াশোনা করছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *