নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কারিগরি কমিটির সুপারিশ ওষুধ প্রসাশন বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধক্ষ্য ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী। তার প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের নামকরণ এবং স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। আবার বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিএসএমএমইউ কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন। বিএসএমএমইউ এর কারিগরি কমিটি কর্তৃক গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটিক লিমিটেড এর উদ্ভাবিত এন্টি বডি কিট এর সুপারিশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করছি ওষুধ প্রশাসন জরুরিভাবে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আনিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবেন এবং অতি দ্রুত নিবন্ধন এবং বিপণনের অনুমতি দেবেন।
তিনি বলেন, কিটের কার্যকারিতা কত শতাংশ তা বৈজ্ঞানিক আলোচনার বিষয়। কিটের উন্নয়ন একটি চলমান বিষয়। এ বিষয়ে আমরা বিএসএমএমইউ’র ক্রমাগত সহযোগিতা কামনা করছি।
তারা এন্টিজেন কিট দ্রুত পরীক্ষা করে দিক। তবে বিএসএমএমইউ আনুষ্ঠানিকভাবে যা বলেছে সেটাই হোক ভিত্তি। সতর্ক থাকতে হবে লালফিতা যাতে ক্ষণকাল হরণ করতে না পারে। গণস্বাস্থ্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে জাতির মহাদুর্দিনে ১৭ কোটি মানুষের জীবনের জন্য সরাসরি একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। সবাই অভিনন্দন প্রাপ্য।
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য একটি আশা নিয়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য কতগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দিয়েছিলেন, সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঔষধ অধিদপ্তর পরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন পেলে তিনি নিবন্ধন দেবেন। এমনকি বিশেষ কমিটিতেও পাঠাবেন। এটাই যৌক্তিক। আমরা এখন দ্রুত ঔষধ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।