সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে এস এ পরিবহন কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজকে সোমবার (১৫ ই জুন) ভোররাত চারটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তাঁর সহকারী জানিয়েছেন, “গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁরা ঢাকা থেকে মালামাল বহনকারী কাভার্ড ভ্যান নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে মহাসড়কের ওই স্থানে তাঁদের বহরে থাকা অপর একটি কাভার্ড ভ্যানের চালকের সহকারী মুঠোফোনে ফোন করে জানান যে, ভেতর থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। এরপরে তাঁরা কাভার্ড ভ্যানটি থামিয়ে পেছনের দরজা খুলে ভেতরে আগুন দেখতে পান।”
আর এ সময় তাঁদের ডাক–চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এতে খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কাভার্ড ভ্যানের চালকের সহকারী হাসান মিয়া বলেছেন, “আমরা গাড়ি নিয়া যাইতেছিলাম। আর এই সময় আরেক গাড়ির হেলপার আমারে ফোন দিছে। বলছে, তোদের গাড়ির পেছন দিয়্যা ধুমা ওড়ে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চাপাইছি। ব্যাক ঢালনা খুইল্যা দেখি ধুমা ওড়ে। আর এই সময় দেহি সব পুইড়্যা যাইত্যাছে। আমাগো ডাকে লোকজন আইলো। ফায়ার সার্ভিস আইলো। তারপর আমরা আগুন নিভাইলাম।”
চালক মাসুম মিয়া বলেছেন, “কাভার্ড ভ্যানটিতে কয়েক বোতল কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ) ছিল। আর সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে।”
এদিকে এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের টাঙ্গাইলের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, “কাভার্ড ভ্যানটিতে কুরিয়ারের মালামাল হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত মাস্কসহ বিভিন্ন সামগ্রী, মোটরসাইকেল, জরুরি কাগজসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিল। কিন্তু এর অধিকাংশই পুড়ে গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। পুড়ে যাওয়া ও কিছু ভালো থাকা মালামাল অন্য একটি কাভার্ড ভ্যানযোগে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেছেন, “কাভার্ড ভ্যানটিতে অনেক ধরনের মালামাল ছিল। এর মধ্যে কেমিক্যালও রয়েছে। ওই কেমিক্যাল থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”