সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : মধুপুরে মাদকদ্রবের মতো সর্বনাশা নেশার করাল গ্রাস থেকে এলাকা সুরক্ষায় প্রেস ব্রিফিং ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবলে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আর তখনই এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু মাদক ব্যবসায়ী বাড়ি গাড়ী করে মাদকের স্বর্গরাজ্যে মুকুটহীন সম্রাট সেজে মাদক রাজ্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আর এমনই একটি মাদক সম্রাট মধুপুর পৌরসভার শেওড়াতলার বাসিন্দা মৃত নাজিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম।
তবে, মুলত নাজিমুদ্দিন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের আদি বাসিন্দা। কালিহাতীর বল্লা গ্রামে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে উঠতি বয়সের ছেলেদের বিপথগামী করে ফেলেছিল। একইসাথে মাদকাসক্ত তরুণেরা ইভটিজিং, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। যার ফলে এলাকাবাসী তাদেরকে স্বপরিবারে এলাকা থেকে বিতারিত করেছিলেন।
এরপর মধুপুরকে মাদকের নিরাপদ ঘাটি হিসেবে বেছে নিয়ে সামান্য জমির উপর জুফড়ীঘর তুলে তার ছেলেদেরকে নিয়ে মাদক বিক্রি শুরু করেন। মধুপুরের থানা পুলিশ থেকে শুরু করে সর্বসাধারণের কাছে আলোচিত বনে গেছে এই মাদক সম্রাট শফিক, বাবলু । ইয়াবা ও হিরোইন সহ বেশ কয়েকবার হাতেনাতে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
আর বর্তমানে শফিকুল বিপুল পরিমাণ হিরোইন সহ টাঙ্গাইল জেলার ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং তার বড় ভাই বাবলু বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ধরা পড়ে বর্তমানে রৌমারী জেলহাজতে আছেন। এতে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকার যুবসমাজ আজ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। ফলে বহিরাগতদের কাছে মাদক বিক্রির সময় এলাকার কিছু যুবক বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং সেই জেরে মাদক ব্যবসায়ী শফিক মাদক বিরোধী যুবকদের নামে মধুপুর থানায় মিথ্যা মামলা করেছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে মধুপুর পৌরসভার মেয়র জনাব মাসুদ পারভেজ, অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নিকট এই মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আর এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব মধুপুর এর সভাপতি মোঃ আঃ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল রানা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।