সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত ৩৫ শতাংশ জমি। আর সেই জমিতে মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচে সুপারি চারা রোপন করে বেকারত্বকে জয় করে ভাগ্য বদল করেছেন নতুন নার্সারী উদ্যোক্তা ও করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র মো. জাকির হোসেন।
টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের মাছুহাটা এলাকায় অতি কম খরচে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে এই নার্সারী করে এলাকার অনেক তরুণ যুবকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন তিনি।
জাকিরের সুপারি চাষ দেখে ভূঞাপুর উপজেলার আশে পাশের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানীয় বেকার যুবকরা বাড়ির পতিত জায়গায় নার্সারী করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এতে উদ্যোক্তা জাকিরের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকে। ফলে কম খরচে দেশীয় জাতের সুপারি রোপন চাষের পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি।
জাকির হোসেন জানিয়েছেন,”বেকারত্বকে দূর করতে সবসময় চিন্তা করতাম, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু একটা করতে হবে। বাড়ির আঙিনায় নিজস্ব ৩৫ শতাংশ পরিত্যক্ত জমিতে প্রাথমিকভাবে প্রতি সুপারি বীজ ২ টাকা করে ১০ হাজার সুপারি ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ওই জমিতে রোপন করি।”
এদিকে জানা যায় যে,”সুপারির বীজ রোপনে অল্প শ্রম ও কম খরচে বেশি লাভ। পরিচর্যাও কম হয়। সুপারি বীজ রোপনের চারায় ৫ থেকে ৭ পাতা হলে ট্রান্সফার করে অন্যত্র লাগানো বা বিক্রি করার উপযোগি হয়। মাটির উর্বর তা (পিএইচ) সাড়ে ৫ থেকে ৬ হলে এর ফলন চাষ ভালো হয়।”
জাকির হোসেন আরো বলেছেন, “যে কেউ ইচ্ছে করলে বাড়ির আশপাশে সুপারি বীজ লাগাতে পারেন। এতে বেকারত্বকে দুর করা সম্ভব। রোপন করা এ সুপারি চারা এখন বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ১০ হাজার সুপারি বীজের মধ্যে ৫ হাজার সুপারি চারা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রতি পিছ সুপারি চারা ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। সে অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে।”
জাকিরের বাবা বলেছেন, “সুপারি বীজ রোপনের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী ছিলাম না। তবুও জাকির হাল না ছাড়ায় তাকে সুপারী বীজ কেনার জন্য অর্থের যোগান দেই। পরে দেখি জাকির তার সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “ছেলের এমন উদ্যোগকে এলাকায় যুবকদের মাঝে সাড়া ফেলছে। জাকিরের সুপারি রোপন নার্সারী দেখে এলাকার অনেক তরুণ যুবকরাও নার্সারী চাষে ঝুঁকছেন।”