রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার গিলারচালা (আসপাডা) গ্রামে দাম্পত্য কলহের জের ধরে আব্দুল জলিল নামের এক যুবকের পুরষাঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা মূমূর্ষ অবস্থায় আব্দুল জলিলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আব্দুল জলিল নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার নন্দের ছুুট গ্রামের জহর আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক, স্থানীয় আবু তাহেরের বাড়ীতে স্ত্রীসহ ভাড়া থেকে এলাকায় ঔষুধ ব্যবসা পরিচালনা করতো। তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার জলিল মিয়ার বাবা জহর আলী জানান, জলিল-আকলিমা দম্পত্তির বিয়ে হয় ৭বছর পূর্বে। তাদের ৫বছর বয়সী একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৩বছর ধরে তার ছেলে শ্রীপুরের গিলারচারা গ্রামের আসপাডা এলাকায় ভাড়া থেকে ঔষুধের ব্যবসা করতো। সম্প্রতি জলিলকে পরকীয়া সন্দেহে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এনিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবার রাতে ঘুমানো অবস্থায় ধারালো বেøড দিয়ে ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় তার স্ত্রী। এসময় তার ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, এখন পর্যন্ত কেউ এমন ধরনের অভিযোগ থানাকে অবহিত করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।