করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) পুনরুত্থানের আশঙ্কায় চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৮ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। নতুন করে জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। জিলিন প্রদেশের একই নামের জিলিন শহরে একগুচ্ছ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর বাসিন্দাদের শহরের বাইরে না যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়েছে প্রদেশটির শুলান শহরেও। পার্শ্ববর্তী শহর লিয়াওনিংয়ের রাজধানী শেনিয়াংয়ে ২২শে এপ্রিলের আগে জিলিন থেকে যাওয়া সকলকে তিন সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
খবরে বলা হয়, জিলিন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৭০০ মানুষকে খুঁজে বের করেছে। তাদের পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, লিয়াওনিং প্রদেশ কর্তৃপক্ষ, করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ১ হাজার ও আক্রান্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে থাকা আরো ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে।
শনিবার চীনে কর্তৃপক্ষ নতুন পাঁচ জন আক্রান্তের কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে জিলিন প্রদেশে স্থানীয় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তিন জন ও বাকি দুই জন বহিরাগত। এখন পর্যন্ত পুরো চীনজুড়ে নিশ্চিত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
শ্বাসতন্ত্র বিষয়ক রোগ বিশেষজ্ঞ ও চীনা সরকারের উপদেষ্টা ঝং নানশান শনিবার সিএনএনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চীনে সম্প্রতি সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম রয়েছে। তবে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। দেশের অধিকাংশ জনগণই এখনো ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসেননি। তারা যেকোনো সময়ে আক্রান্ত হতে পারেন।
এদিকে, রোববার বেইজিং সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কনট্রোল জানিয়েছে, আজ থেকে রাজধানীতে বাইরে অবস্থানকালে মাস্ক পরা আবশ্যক নয়। টানা ৩০ দিন ধরে সেখানে কোনো সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। অন্যদিকে, ম্যাকাও ও হংকংও সীমিত পরিসরে জনগণকে বাইরে ভ্রমণের অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনা করছে।