মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: COVID-19 সংক্রমণের মধ্যেও কালীগঞ্জে একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কালীগঞ্জে ১৫ই মে শুক্রবার বিকালে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড পানজোরা গ্রামের সুখপাড়া এলাকায়।
আহতের নাম মোঃ আফাজ উদ্দিন আফা (৪৮)। তিনি মৃতঃ নজম উদ্দিন মেম্বার ও ফুলজান বিবির ছোট ছেলে। গ্রাম: বালীগাঁও, থানা ও পৌরসভা: কালীগঞ্জ, জেলা: গাজীপুর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্রো- ল ২৭- ৫১১৯) রাস্তার বামপাশে পরে আছে। আহত আফাজকে প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ দুলাল মিয়া স্থানীয়দের সহায়তায় নিজের বাসায় নিয়ে রেখেছে। ঘটনাস্থল থেকে আহতের ছেলে ও ভাগিনা বন্ধুদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ দুলাল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, বিকালে বৃষ্টির সময় মোটরসাইকেলটি পানজোরার দিক (কুমার পাড়া) থেকে আসার পথে, বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতির ১টি ডিম ভর্তি পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলে লাগার সাথে সাথে দ্রুতবেগে চলে যায়। এতে মোটরসাইকেল সহ তিনি রাস্তায় ছিটকে পরে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওনাকে উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে এসে, আহতের কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে ওনার বাড়িতে সংবাদ পৌঁছাই।
এ সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আতিকুদজ্জামান বলেন, রোগীকে বিকাল পাঁচটার দিকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মুখে, হাতে, বাম পায়ে, কোমরে ও বুকে কাঁটাছেড়া ক্ষত সহ নীলাফুলা দেখা যায়। এক্সেরেতে দেখেছি কোমর ও বাম পায়ের ১টি করে ২টি হাড় মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে গেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) রেফার্ড করে দেয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে আহত আফাজের ছেলে এজাজ আহমেদ এলিজ বলেন, আমার আব্বা বিকালে বৃষ্টির সময় পানজোরা থেকে বাসায় আসার পথে, সুখপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি পিকআপ ভ্যান, চালকের অসাবধানতায় স্বজোরে ধাক্কা মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। এক্সিডেন্টের সংবাদ পেয়ে আমার ফুপাতো ভাই সাংবাদিক সাজ্জাতের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসায় দেখা যায়, কোমর ও বাম পায়ের হাটুর ১টি করে ২টি হাড় মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে গেছ। তাই কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড দিলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য উত্তরা হাই-কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাই।