সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ অসহায়, দরিদ্র মানুষদেরকে সেবা দেওয়াই ‘আলোকিত মানুষ’ পরিবারের মূল লক্ষ্য । সারা বছর এই সংগঠনটি কাজ করে পথশিশু এবং ছিন্নমূল মানুষ নিয়ে। আর এই করোনা ক্রান্তি কালেও এদের কাজ থেমে নেই ।
সংগঠনের বরাদ্দকৃত অর্থ এবং অন্যান্য দাতা সংস্থা এবং কোম্পানি এবং ব্যক্তি গত পর্যায়েও নক দিয়ে বারবার অনেক কষ্টে অসহায়দের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি। আর এই মহামারীতেও দুষ্টলোকের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেমে নেই। এদের অফিসে যোগাযোগ করে সহস্রাধিক অসহায় নাম এবং সমস্যা তালিকাভুক্ত করিয়েছে। আর সেই তালিকা ধরে সংগঠন কতৃপক্ষ সবাইকে ত্রাণ বা উপহার পৌঁছে দিচ্ছে একদম বাড়ি বাড়ি পৌঁছে । এই কাজের ধারবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যার পর ত্রাণ উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রথমে যাত্রাবাড়ি উপহার ডেলিভারি দিয়ে মুগদার কয়েকজন এর নামের তালিকা ধরে ড্রাইভার ফোনে যোগাযোগ করেন। এরপর কাছাকাছি যেতেই দুই পরিবারের দুজন ব্যক্তি আসেন এবং তালিকায় আরও দুজনের নাম তা দুজন মহিলার । আর তখন উনারা ড্রাইভার কে বলেন যে “আপনি আসুন হায়দার আলী স্কুলের কাছেই উনাদের বাসা।। সকলেই এক বাসার ভাড়াটিয়া ।”
এরপর কিছুদূর যেতেই এরা ড্রাইভার এর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তার কাছে থাকা নগদ অর্থ এবং গাড়িতে থাকা অবশিষ্ট উপহারের বিশটা প্যাক ও নিয়ে যায় । ড্রাইভার কে ঘন্টা খানেক পর কিছু লোক উদ্ধার করেন এবং পাঠায় । আর এমন ঘটনায় সংগঠনটি বিব্রত অবস্থায় পড়েছে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান নাজমিন সুলতানা তুলি বলেন “দুঃখজনক! আর এই অসহায় মানুষ গুলো অর্থাভাবে এবং খাদ্যাভাবে এইসব করছে । দিন দিন আমরা ভয়ংকর একটা পরিস্থিতি র দিকে এগুচ্ছি; সকলের উচিত সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া । এই মহামারীতে সকল ক্রাইম বেড়ে চলেছে । আসুন সোচ্চার হই।। ”
প্রকৃতপক্ষেই ঘটনাটি দুঃখজনক। এভাবেই চলতে থাকলে সামাজিক অবক্ষয় বেড়েই চলবে।।