ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য লুকোচুরির কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য মূলক অপপ্রচার করে যাচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলটি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণের আগে তার বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য লুকোচুরির কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তারা
মৃত্যুবরণ করাকে ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে সবাই করোনায় মৃত্যু। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর পর যাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে পজেটিভ-নেগেটিভ দুটোই আসছে। মৃত্যুর পরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। অনেকে নানান শারীরিক জটিলতায় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করছে। এসকল মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন কাদের বলেন, নানা অপরাধমূলক কাজে উস্কানি দেয়া হচ্ছে কখনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধমূলক কাজে যারা উস্কানি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে তবে আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সজাগ রয়েছে আমি আবারো বলছি, কোথাও কোন আইনের অপপ্রয়োগ ঘটে বা ব্যত্যয় ঘটে তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে সেটা জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি
যদি কাউকে অন্যায় ভাবে দোষারোপ করা হয় তাহলে সেটা তারা অবশ্যই যেন অবগত করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছেন।
এছাড়াও ১কোটি মানুষের মাঝে রেশন কার্ড চালু করা হয়েছে এবং ৫০ লাখ মানুষের মাঝে নগদ সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস জনিত সৃষ্ট এই সংকটে ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও দক্ষতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা পঁচাত্তর-পরবর্তী ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঈদকে সামনে রেখে এসকল উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও জানান তিনি।
কাদের বলেন, আজকে আমাদের সকলের জন্য একটি শোকের দিন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে জাতির চেতনার জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তার বিদায়ে আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতি মূল্যবোধের জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। সাহিত্য-সংস্কৃতির এই বটবৃক্ষের স্বাধিকার স্বাধীনতা জাতীয় মুক্তি আন্দোলন রেখেছেন অপরিসীম অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবনের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। তিনি ছিলেন আমাদের মনন-মানসিকতা ও সৃজনশীলতার বাতিঘর।
আমরা তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। পরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রতিনিধির মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।