রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার দুজন, কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের এক গার্মেন্টস্ শ্রমিক ও গোসিঙ্গা ইউনিয়নের ১৪ বছর বয়সী কিশোরীসহ দুজন।
এ নিয়ে শ্রীপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগী সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জনে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু ও ১৮ জন সুস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
নতুন আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে গোসিঙ্গা ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী, ২৭ বছর বয়সী এক যুবক, কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ২৪ বছর বয়সী এক গার্মেন্টস্ শ্রমিক, শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের ৩৫ বছর পুরুষ (স্বামী) ও ২৬ বছর বয়সী এক নারী (স্ত্রী) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, করোনা উপস্বর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১২ মে) শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা ও উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের তাদের নিজ বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে স্বামী-স্ত্রী ও গোসিঙ্গা ইউনিয়নে এক কিশোরীর দেহে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, শ্রীপুরের কাওরাইদ এলাকার ২৪ বছর বয়সী এক কারখানা শ্রমিক পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার সাদচান কারখানায় চাকরি করতো। তিনি গত ১০ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে পাঠানো রিপোর্টে তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
অপরদিকে, ২৭ বছর বয়সী এক যুবক ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়ে উপজেলার গোসিঙ্গা এলাকায় চলে আসে। আজকে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। নতুন আক্রান্ত পাঁচজনকে শ্রীপুরে হোম আইসলোশনে রাখা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রণয় ভূষণ দাস জানান, নমুনা সংগ্রহের পর তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি মানতে বলা হয়েছিল। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এখনও তাদের হোম আইসলোশনে থাকতে বাধ্য করা হবে। এরপরও তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।