মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে সারা দেশের ন্যায় কালীগঞ্জের মানুষও এখন অজানা ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে ১৩ই মে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার পিপুলিয়া এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুটি ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ায় রাস্তায় পরে আছে। একটির নাম্বার (ঢাকা মেট্রো-ট, ১৫-২১৪৮) ও অপরটি (ঢাকা মেট্রো-ট, ১৫-৪৬৮৬)। মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় ট্রাকের চালক ও হ্যালপার এবং ১টি ইজিবাইকের চালক ও যাত্রীসহ ৭ জন, মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। এতে দুটি ট্রাকেরই সামনের দিকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাল বোঝাই ড্রামট্রাকটি পিপুলিয়া যাত্রী ছাউনির সামনে ইজিবাইক ওভারট্রেক করে পূবাইলের দিকে যাচ্ছে। অপরদিক থেকে দ্রুতগতিতে আরেকটি খালি ট্রাক, তার সামনের গাড়িটি ওভারট্রেক করতে ডানদিকে টার্ন নিয়ে, আর বামদিকে টার্ন না নিতে পারায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
চোখের সামনে ভয়াবহ দূর্ঘটনা দেখে পিছনের ইজিবাইকের চালক নিয়ক্রন হারিয়ে খাদে পরে যায়। এতে দুটি ট্রাকের চালক ও হ্যালপার, ইজিবাইকের চালক ও যাত্রীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় খালি ট্রাকের চালক ও হ্যালপার হালকা আঘাত পাওয়ায় গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। ড্রামট্রাকের চালক গাড়ির ভিতরে চাপা খেয়ে যায়।
এ সম্পর্কে টহলে থাকা থানার এএসআই আসাদুর রহমান বলেন, রাস্তায় টহলে থাকাবস্থায় দূর্ঘনাটি সম্পর্কে অবগত করলে, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। মুখোমুখি সংঘর্ষে জ্যামলেগে কালীগঞ্জ টু টঙ্গীর রাস্তা প্রায় ২ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। থানায় রেকার না থাকায় নরসিংদীতে রেকারের কথা বলা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঘটনাস্থলের কাছে তার পরিচিত দুটি গাড়ি দিয়ে, আমাদের সহযোগিতায় ঘন্টাখানেক চেষ্টায় খালি ট্রাকটি বামদিকে চাপালে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
এ সম্পর্কে ড্রামট্রাকের মালিক আবুল কাশেম বলেন, আমার গাড়ি মাল বোঝাই করে গাজীপুর যাওয়ার পথে পিপুলিয়া পৌঁছালে সামনের ট্রাকের সাথে মুখোমুখি হয়। এতে আমার গাড়ির চালক গাড়ির ভিতরে চাপা পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায়, আশঙ্কাজনক অবস্থায়, উত্তরা আর.এম.সি হাসপাতালে নিয়ে যাই। হ্যালপারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। রাত ৯ টার পরে রেকার দিয়ে ২টি গাড়ি থানায় নিয়ে গেছে।
নিউজ লেখা পর্যন্ত অন্য ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট, ১৫-৪৬৮৬) মালিকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।