দুইমাসে তিনি তিনবার করোনা পজিটিভ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ২৬ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ান বার্মিয়া আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছেন না। প্রাণঘাতী ভাইরাসের ধরণ দেখে তিনি বুঝতে পারছেন না, আদৌ সুস্থ হবেন কিনা। বার্মিয়া জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মানসিক দিক থেকেও মানুষকে শেষ করে দেয়।
তিনি বলেন, সবসময় মন হয় যেন আমার শরীরে ভাইরাস রয়েছে এখনও। একটা অজানা ভয় চেপে ধরে। শরীর তো ভেঙে যাবেই, সেইসঙ্গে মানসিক দিক থেকেও দুর্বল করে দেবে এই ভাইরাস। নিজেকে পাগলের মতো মনে হবে।
গত ১৯ মার্চ তার শরীরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৫২ দিন আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, আগের মতো আর ঘ্রাণশক্তি নেই। নাকে কোনও গন্ধ আর তেমন লাগে না। শরীর মারাত্মক দুর্বল থাকে সব সময়। মাথা ঘোরে। জ্বর, গলা ব্যথা লেগেই রয়েছে। এতদিন ধরে ভুগছি। এবার মনে হচ্ছে যেন আর বাঁচব না।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারর সর্বশেষ তথ্য জানাচ্ছে, মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যায় গোটা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র এখন শীর্ষে রয়েছে। ৭১ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ট্রাম্পের দেশে। মোট আক্রান্ত ১২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৬। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪১ মানুষ।
চলতি সপ্তাহে আরও একবার করোনা টেস্ট হবে বার্মিয়ার। সামনের কয়েক মাস তার আরও বেশ কয়েকবার টেস্ট হবে বলে জানিয়েছেন টেক্সাসের এই যুবক। আপাতত তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে ঠিক কতদিন তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে সেই সম্পর্কে ডাক্তাররাও কিছু বলতে পারছেন না।