সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় দশ টাকা কেজি দরে (ওএমএস) এর চাল পুরাতন কার্ডে আর ওঠানো যাবেনা, আর এতে নতুন কার্ড নিতে হবে, ফলে বিনিময়ে লাগবে প্রতিটি কার্ড একশত টাকা করে। আর এভাবেই ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার এবং স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জানিয়েছেন, “ঘাটাইলের রসুলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ওএমএস এর সুবিধাভোগি রয়েছেন ৭০ জন। আর তারা এতোদিন কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই, কার্ড দিয়েই সংশ্লিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে দশ টাকা কেজি দরে চাল কিনে আসছিলেন।”
এসব সুবিধাভোগীরা জানিয়েছেন,”ঘাটাইলের ইউপি মেম্বার এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মালেক ও ইসমাইল তাদের সবাইকে বলেছেন যে, এখন আর পুরাতন কার্ড দিয়ে চাল ওঠানো যাবেনা। ফলে নতুন করে কার্ড করতে হবে। আর এজন্য ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি ছবি এবং একশত করে টাকা লাগবে।”
এছাড়াও জানা গেছে যে, তারা টাকাসহ সবকিছু দিলেও এখন পর্যন্ত তারা নতুন কোনো কার্ড পাননি।
শালিয়াবহ বড়চালা গ্রামের আফাজের স্ত্রী শুকুরি বলেছেন,”আমার কাছ থেকে টেহা (টাকা) নিছে ঠিকই, কিন্তু নতুন কার্ড দেয় নাই। আমরা পুরান কার্ডেই চাইল পাইতেছি।”
এদিকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে ইউপি মেম্বার কুদরত বলেছেন, “আমি কারো কাছ থেকে এ বাবদ কোনো টাকা নেইনি। আর সবাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”
আর ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন জানিয়েছেন,”ভুক্তভোগি সবার কাছ থেকে এ বাবদ মেম্বার একশত করে টাকা নিয়েছেন, আর এলাকায় তার প্রমাণও রয়েছে।”
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেককে ফোনে না পাওয়া গেলেও অভিযোাগ পাওয়া এ কাজে সংশ্লিষ্ট আরেকজন নেতা ইসমাইল জানিয়েছেন,”নতুন করে কার্ড করে দেওয়ার নামে কারো কাছ থেকে আমি এক পয়সাও নেইনি।”
এদিকে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার জানিয়েছেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে, যদি ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে এ কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের কঠিন বিচার করা হবে।”
আর এ বিষয়ে উপজেলা সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর সভাপতি ও ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানিয়েছেন, “, বিষয়টি আমি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আর তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”