ড. নাজনীন আহমেদ: বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, ক্ষুধার্ত মানুষ অপরাধে জড়াবে। এ জন্যই সবার আগে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে মানুষকে কাজ দিতে হবে। তবে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সবার আগে মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। জীবনই যদি না বাঁচে তাহলে খাবার দিয়ে কী হবে। আবার বাঁচার জন্য খাবারের প্রয়োজন হবে। ফলে দুটোকেই গুরুত্ব দিতে হবে।
সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে হয়তো অন্য সবই খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এটা আরেকটু দেরি করা প্রয়োজন ছিল। কেননা আমরা তো সংক্রমণটা এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত মানুষ খাবারের জন্য নতুন অপরাধে জড়াবে। যারা অপরাধপ্রবণ নয় তারাও অপরাধে জড়াবে। এটাকে মোকাবিলা করতে হলে এখন থেকেই কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন এখন যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছে, পুলিশ, চিকিৎসক, সংবাদকর্মী, সরকারি কর্মচারী- এদের সুরক্ষা দিতে হবে।
ড. নাজনীন বলেন, অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে। এখন তো অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো কাজ নেই। যেমন প্রটোকল দেওয়া, সভা-সমাবেশে নিরাপত্তা দেওয়া, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সবই তো বন্ধ। এখানে পুলিশ যে অনলাইনে সেবা দেয় সেখানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদেরও কাজে লাগাতে পারে। তারা তো এখন বসেই আছে। তিনি বলেন, সরকার যে তালিকা করেছে দরিদ্র মানুষের, সেটা ধরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। এখানেও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছাত্রদের কাজে লাগানো যেতে পারে। কাজ করলে আর সংকট থাকবে না। কিন্তু কর্মহীন থাকলে সংকট বাড়বে।