হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ প্রায় হারিয়ে যেতে বসা মৃৎশিল্পীরা এখনো বেঁচে আছেন বাংলা নববর্ষকে ঘিরে। পহেলা বৈশাখের দিন থেকে শুরু করে পুরো বৈশাখ মাস জুড়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে সমারোহের সঙ্গে বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে।
এ বছর মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সারাদেশের ন্যায় লালমনিরহাটেও চলছে সতর্কতা। সরকারী নির্দেশনামতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,অফিস-আদালত, যাতায়াত সহ সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। গেল বৈশাখী উৎসব বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় এই সংকটময় সময়ে বিপাকে পড়েছে লালমনিরহাটের মৃঁৎ শিপ্লীরা। এ বছর খেলনা সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা।
লালমনিরহাটে প্রতিবছর বৈশাখী মেলাকে ঘিরে মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রাণীর আকৃতি ও মাটির তৈরী খেলনা,আসবা পত্র তৈরি করে কুমার পাড়ার (মৃৎশিল্পী) মাটির কারিগরেরা।
এবারেও বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এসব তৈরির কাজ শুরু করেন তারা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী সব ধরণের জনসমাগম বন্ধ করা সহ আসন্ন বৈশাখী মেলাও বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। ফলে মাটির তৈরি খেলনা সহ এসব সামগ্রি গুলো বিক্রি করতে পারছে না কুমোরেরা (মৃৎশিল্পী)।
মাটির তৈরি খেলনা সহ যাবতীয় আসবা পত্র তৈরী করে পোড়ানোর পর সে গুলো স্তুপ আকারে বিভিন্ন স্থানে সাজিয়ে রেখেছে। এ গুলো বিক্রি করতে না পারার আশংকায় হতাশা বিরাজ করছে এ পেশার সাথে জড়িতদের মধ্যে। সরকারী ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে এ পেশার সংস্লিষ্টরা