প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে—ছেলেরা বিয়ে করতে যায় মেয়ের বাড়িতে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে হয়েছিলো তার উল্টো।
মৃণালিনী দেবী রবীন্দ্রনাথকে বিয়ে করতে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। বরীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইচ্ছেতেই এমনটি হয়েছিলো।
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খুলনার দক্ষিণডিহির ফুলতলা গ্রামের ঠাকুর এস্টেটের কর্মচারী বেণুমাধব রায়চৌধুরী ও দাক্ষায়ণীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে বিয়ে হয় রবীন্দ্রনাথের!
বিয়ের পর রবীন্দ্রনাথের কাছে ভবতারিণীর নাম ভালো লাগেনি। তাই সেকেলে নাম পাল্টে করে দিলেন মৃণালিনী দেবী।
রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে, মৃণালিনীর ১৮৭৪ সালের ১ মার্চ। বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিলো বাইশ, মৃণালিনীর নয়।
বিয়ের পর মৃণালিনী বেঁচেছিলেন ঊনিশ বছর। ১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। রবীন্দ্রনাথ মারা যান ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট।
ঊনিশ বছরের দাম্পত্যজীবনে দুইপুত্র ও তিনকন্যার বাবা-মা হন তারা। তাদের একপুত্র ও এককন্যা মারা যায় খুব অল্প বয়সে।