রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে কাজিম উদ্দিনের টিনসেডের এই বাড়িতেই চলে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা। ডাকাতির আগের রাতেও খুনিরা রাত বারোটা থেকে ভোররাত পযর্ন্ত এই বাড়িতে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে বলে জানাযায়। সরজমিনে এসব তথ্য উঠে এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। প্রবাসী কাজলের দোতলা বাড়ির পিছনে একটি খালি মাঠে নিয়মিত জোয়ার আসর বসত। আর এই জোয়ার আসরের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলো র্যাবের হাতে আটক ৫জন। আর পিবিআইয়ের কাছে আটক পারভেজ দু’বছর আগেও ধর্ষণের পর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা করে। গ্রেফতারের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এগারো মাস কারাভোগের পর জামিনে বেড়িয়ে এসে মেতে উঠে অপরাধ জগতের সাথে। এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারী, ডাকাত সন্ত্রাসীদের সাথে ঘরে উঠে শক্খতা। চার খুনের ১ মাস আগেও প্রবাসী কাজলের বাড়ি রাতে অনধিকার প্রবেশ করেছিলো। তারপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলো পারভেজকে। তারপর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে পারভেজ।
পারভেজ তার বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়েয়েছে জৈনা বাজারের আবদার এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায়। পারভেজ এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একধিক সন্ত্রাসী দল। পারভেজ বাহিনী বিভিন্ন গ্রুপে অদৃশ্য শক্তির প্রশ্রয়ে এরা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে চালিয়েছিল জুয়ার আসর। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই হেন অপকর্ম নেই, যা তারা করছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি এরা সংশ্লিষ্ট ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করা ছিলো তাদের বড় ধরণের নেটওয়ার্ক।
স্থানীয়রা জানান, আবদার কলেজ পাড়া পারভেজ এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। অদৃশ্য শক্তির মদদে এই গ্রুপ ছিনতাই, জুয়া আসর খুনখারাবি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত ছিলো। সম্প্রতি প্রবাসী বাড়ির পাশে কেরাম খেলার বোর্ড বসিয়ে প্রবাসী কাজলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো।
উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে প্রবাসী কাজলের দোতলা বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।