হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: পল্লী চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে দিনরাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন সিলেট সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রভাষক ও বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আক্তার হোসেন।
সদা হাস্যোজ্বল এই চিকিৎসকের মনে একটা ব্যথ্যাই সব সময় খুড়ে খুড়ে খাচ্ছে, আর সেই ব্যথ্যাটাই হলো পল্লী চিকিৎসকদের প্র্যাক্টিসিং সুবিধা হতে বঞ্চনা। বঞ্চনার এ যাতনা অনুধাবন করে তিনি পল্লী চিকিৎসকের সংগঠিত করে তাদের দাবী দাওয়া আদায়ে আবেদন নিবেদন নিয়ে ছুটে চলেছেন এক দফতর থেকে আরেক দফতরে।
দক্ষ সংগঠকের মতো পল্লী চিকিৎসকের সংগঠিত করে সতীর্থদের নিয়ে গঠন করেছেন পল্লী চিকিৎসক-গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যান সোসাইটি এবং সম্পৃক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক পরিষদে। সংগঠক হিসেবে তিনি এক পরিক্ষিত সৈনিক। তিনি তার সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে পল্লী চিকিৎসকদের কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীর এই দুর্যোগময় মুহুর্তেও বসে না থেকে কাজ করছেন দেশের অসহায় মানুষ ও পল্লী চিকিৎসকদের হিতে।
পল্লী চিকিৎসকদের ন্যায্য দাবী-দাওয়া আদায়ে তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনানী মেডিকেল এসোসিয়েশনের কতিপয় সদস্য, RMP ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, রুল্যাল মেডিকেল প্র্যাকটিশনার ওয়েল সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ভিলেজ ডক্টর সোসাইটি এই চারটি সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে রীট পিটিশন ১৫৮০৫/২০১২ দায়ের করেন।
এই দায়েরের প্রেক্ষিতে DUMS/RMP সনদধারীরা মোবাইল কোর্ট হয়রানী হতে পরিত্রান পায় এবং DUMS/RMP সনদধারীরা নামের পুর্বে ডা. পদবী লেখার অধিকার পায়। যাহা এখনো বলবৎ রয়েছে এবং সরকার পক্ষে ৩০৩৯/২০১৩ সিভিল পিটিশন দায়ের করলেও এক্ষেত্রে ঐক্য কল্যান সোসাইটি জয়লাভ করে।
উচ্চ আদালতের এ আদেশ বাস্থবায়নের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র দফতরে চিঠি চালাচালি করে অনেকটাই সফল হয়েছেন।
মহান এ সংগঠকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় তাহাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।