গাজীপুর: শ্রীপুরে মা ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পরপরই ‘মাস্টার মাইন্ড’ কাজিম উদ্দিন (৫৫) ও অভিযুক্ত ৫ ঘাতককে আলামতসহ গ্রেফতার করেছিল র্যাব-১ সদস্যরা। অপর দিকে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পিবিআই। ‘চার হত্যার’ সব দায় ‘মাস্টার মাইন্ড’ কাজিম উদ্দিনের ছেলে পারভেজের (২০) ঘাড়ে চাপিয়ে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে এই তদন্ত সংস্থাটি। আজ ৫ আসামী পেয়ে আদালততে পাঠায় পিবিআই। অতঃপর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যদিও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীরই দুটি ইউনিট। পিবিআই এক আসামি ধরে সংবাদ সম্মেলন করার আগেই র্যাব ৫ আসামিকে দিতে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পিবিআই আসামি নিবে না বলে র্যাবকে সাফ জানিয়ে দেয়। পরে আলামতসহ গ্রেফতার আসামিদের নিয়ে বিপাকে পড়লেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠেকাতে বিষয়টি চেপে যায় র্যাব। শেষে দুটি ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কয়েক দফার বৈঠকে দ্বন্দ্ব নিরসনের পর বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পিবিআইয়ের কাছে পাঁচ আসামিকে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
র্যাব-১, পুলিশ ও পিবিআইয়ের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দিন, এলাহী, বশির, হেলাল ও হানিফ। সবার বাড়ি শ্রীপুরে। সবাই নেশাগ্রস্ত ও জুয়াড়ি। র্যাব-১ অনলাইন ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবে বলে তাদের বিষয়ে তাৎক্ষণিক বেশি কিছু বলেনি।
গাজীপুর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ বলেন, আজ দুপুরের পরপরই পাঁচ আসামিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। আসামি গ্রহণ না করার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। আসামিদের নিয়ে পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান আদালতে রয়েছেন। রিমান্ড শুনানির জন্য এজলাসে থাকায় তার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মীর রকিবুল হক কে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর এক নম্বর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন নাহার শুনানি শেষে প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে তাদের পিবিআই অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।