করোনায় আক্রান্ত রোগী ফিরে আসায় এলাকায় উত্তেজনা

Slider গ্রাম বাংলা


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতাল থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসতে দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার সীমান্তবর্তী পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী পালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। আর খবর পেয়েই সোমবার (২৭ ই এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর ও ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকায় গিয়ে মির্জাপুরের উয়ার্শী ইউনিয়নের দেওলীপাড়া দক্ষিণপাড়ার ২০টি ও ধামরাই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ৪০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

করোনা পজিটিভ ওই ব্যক্তি তথ্য গোপন করে মির্জাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধামরাই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। ফলে ওই বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক ।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হক, থানা ইনচার্জ দীপক কুমার সাহা, মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন উপস্থিত হয়ে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে রাতে তিনি আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন।

আজকে মঙ্গলবার (২৮ ই এপ্রিল) সকালে স্থানীয় লোকজন তার উপস্থিতি টের পেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শত শত গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। আর খবর পেয়েই ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হক ও থানা ইনচার্জ দীপক কুমার সাহা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।

তারা জানিয়েছেন,”মুগদা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকতে বলে ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও আর ওই বাড়ি থেকে কেউ বের হতে কিংবা প্রবেশ করতে পারবেন না। আর এজন্য দুইজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় থাকবেন। ফলে দুই উপজেলার ৬০ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন তাদের খাবার নিশ্চিত করবেন।”

আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়। আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৪৬ বছর। তিনি রাজবাড়ী জেলায় চাকরি করতেন। আর অসুস্থবোধ করায় গত ২৩ এপ্রিল ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা জমা দিয়ে টাঙ্গাইলে চলে এসেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। আর বিষয়টি গোপন করে ২৫ এপ্রিল ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন।

উল্লেখ্য যে, পাইকপাড়া গ্রাম মির্জাপুর উপজেলার দেওলীপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রাম সংলগ্ন হওয়ায় গ্রামটির ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *