দেশে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দাম বাড়া শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। করোনা ভাইরাস দেখা দেয়ার পর থেকে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ২০ টাকা এবং এক লিটারের বোতল জাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।
আর রমজানকে কেন্দ্র করে ও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানেই প্রতি ৫ লিটারে (বোতল) বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আর লিটারে বেড়েছে ৩ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত।
সরকারি বিপনন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে ৫ লিটার বোতলের সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা।
মুক্তার নামের রাজধানীর হাতিরপুলের একজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বাজারে তেলের সংকট না থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে গত বছর থেকেই তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর রমজানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে তেলের দামও বেড়ে যায়। আমাদের দেশের জন্য তো এটা স্বাভাবিক।
যেমন দামে কিনে আনি তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করছি। আর কিছু লাভতো করতেই হবে।
রফিকুল ইসলাম নামের একজন ভোক্তা জানান, আমাদের দেশের একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে যে পণ্যের দাম একবার বাড়া শুরু হলে আর থামানো যায় না, লাগামহীনভাবে বাড়তেই থাকে। সরকারের অবহেলা আর যথাযথভাবে মনিটরিং না হওয়ায় এমনটা হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, রমজান এলে তেলের দাম যে বাড়বে এটাও আমাদের জন্য কমন বিষয়। তবে এবার প্রায় ৩-৪ মাস ধরে তেলের দাম বাড়তির মধ্যেই আছে। করোনার কারণে এমনিতেই অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এরমধ্যে জিনিসপত্রের এমন ঊর্ধ্বগতি হলে মানুষ করোনায় নয়, হতাশা আর টেনশনেই মারা যাবে।