সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আমি রোজা রেখেছি। আজকে জামালপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে আটবার সিএনজি-অটোরিক্সা পাল্টাতে হয়েছে। আর এরই মধ্যে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটেই এসেছি। এতে রোজা থাকার কারনে এখন আর হাটতে পারছিনা। আর এমন করেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুর থেকে আসা গার্মেন্টসকর্মী রোজিনা।
তিনি জানিয়েছেন,”গেল মাসের বেতনও দেয়া হয়নি আমাদের। আর এখন না গেলে বেতন তো দিবেই না বরং চাকরি থেকে বের করে দেয়া হবে জানিয়েছেন মালিক পক্ষ। তবে করোনাভাইরাসের কারনে সরকারের সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়েছে। আর এর ফলে বেড়েছে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষনাও।কিন্তু বাড়েনি গার্মেন্টসকর্মীদের ছুটি।আর এজন্য ভোররাত থেকেই কর্মস্থলে যোগ দিতে শতশত কর্মীর স্রোত দেখা গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে।এছাড়াও গণপরিবহন না থাকায় অনুমোদনহীন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ও পায়ে হেঁটে চরম ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা।”
গার্মেন্টসকর্মীরা জানিয়েছেন, “সবগাড়ি বন্ধ রেখে (২৬ই এপ্রিল) রবিবার থেকে গার্মেন্টস খোলার বিষয়টি জানানো হয়েছে তাদের । আর কাজে যোগ না দিলে চাকুরি থেকে ছাটাই করা হবে। তাই জীবনের ঝুকি নিয়েই মাইলের পর মাইল পায়ে হেটেই কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এমনকি এদিকে মহাসড়কে চোখে পড়েনি পুলিশি তৎপরতা।”
উল্লেখ্য যে, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লোক দেখানো দু-একটি অনুমোদনহীন যানবাহন থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ। আর এ বিষয়ে কোন কথা বলতেই রাজি হয়নি ট্রাফিক সার্জেন্ট আল-আমিন।