মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে বাংলার প্রান কৃষকের দূর্দিনে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে, শ্রমিকের অভাবে, কৃষক যখন মাঠ থেকে ধান কেটে, বাড়িতে নিয়ে, মারাই করে, বস্তা বন্ধি করতে হিমসিম খাচ্ছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ হাসানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি করে সাহায্যকারী টিম গঠন করে কৃষকের ধান কেটে, বাড়িতে নিয়ে, মারাই করে বস্তা বন্ধি করে দিয়েছেন।
গত পাঁচ দিনের মতো আজ ২৪ ই এপ্রিল ২০২০ ইং রোজ শুক্রবার দিনভর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাহায্যকারী টিমগুলো কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, জামালপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও নাগরী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান কেটে, বাড়িতে নিয়ে, মারাই করে বস্তা বন্ধি করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ তানভীর মোল্লা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমার প্রাণের সংগঠন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশ স্বাধীন করা সহ দেশের যে কোন দুর্যোগ বা মহামারীতে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে থেকে, কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছে। আমরাও এই নীতির বাইরে নই। তাই কৃষকের এই দূর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরো বলেন, দেশের এ ক্রান্তিকালে কৃষকেরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে যে ফসল ফলিয়েছে সেই ধান শ্রমিকের অভাবে তারা মাঠ থেকে কেটে, বাড়িতে নিয়ে, মারাই করে বস্তা বন্ধি করতে পারছেনা। তাই কালীগঞ্জের শান্তিকন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে, ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি করে সাহায্যকারী টিম গঠন করে, আমরা গত পাঁচ দিনের মতো আজও কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, জামালপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও নাগরী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান কেটে, বাড়িতে নিয়ে, মারাই করে বস্তা বন্ধি করে দিয়েছেন। আজ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ৭টি ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ২৩ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার সকল কৃষকদের মাঠের ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত, প্রতিনিয়ত আমাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক সাহায্যকারী টিমগুলো তাদের এ কাজ অব্যাহত রাখবে।
বাংলার প্রাণ কৃষকের সম্পর্কে “সরলতা” কবিতায় কবি বলেছেন-
“খাঁটি গায়ের ছেলে আমি
আমি যে ভাই কৃষক,
তবু এই কৃষকের যোগানেতে
নাই আমাদের হক।
বিলেতি ভাষা বুঝি না কো
খাঁটি বাংলা কই,
দালানকোঠা নেই কো মোদের
আছে শুধু ভুঁই।
স্বপ্ন নেইতো রাজ প্রাসাদের
দু মুঠো চাই অন্ন,
আবার সবার মুখে অন্ন জোটে
এই কৃষকের জন্য।
গাড়ী ঘোড়া নেইকো মোদের
আমি যে ভাই গরীব,
তবু সবার ঘরে বিজলী জ্বলে
আমার ঘরে প্রদীপ।
শুধু এই কৃষকের জন্য যে আজ
সবুজ বসুন্ধরা,
এই কৃষকের মুখের হাসি
সরলতায় ভরা।”
আজকে কৃষকের সাথে ধান কেটে, বাড়িতে নিয়ে মারাই করা কাজে সাহায্যকারী টিমগুলোর মধ্যে ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া, জামালপুর ও নাগরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান রাজ সহ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।