করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ভারতজুড়ে লকডাউনের কারণে দেশটিতে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা আরও ১৬৯ বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন তথা সরকারের অ্যারেঞ্জ করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চতুর্থ স্পেশাল ফ্লাইটে শুক্রবার চেন্নাই থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। চেন্নাই ফেরত ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৫৬মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জিএম পাবলিক রিলেশন জানান, ওই ফ্লাইটিতে ৫ শিশুও ফিরেছেন। দিল্লির বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছ, দুটি ফ্লাইটে ১৬৪ করে এবং দুটি ফ্লাইটে ১৬৯ করেন চেন্নাই ফেরত ৪ ফ্লাইটে ৬৬৬ জন বাংলাদেশি উদ্ধার করা হয়েছে। চেন্নাই আগামীকাল পঞ্চম অর্থাৎ শেষ ফ্লাইট যাবে। তবে ওই অঞ্চলে আরও কয়েশ বাংলাদেশি আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে নতুন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। স্পেশাল ফ্লাইট চালাতে হলে ঢাকা, দিল্লি উভয়ের ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের উদ্ধারে সরকার চেন্নাইতে ৫ টি এবং কলকতা থেকে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে ছিল ইউএস-বাংলাকে। সব ফ্লাইটই তারা ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চিকিৎসার জন্য গিয়ে একমাসের অধিক সময় ধরে আটকা হাজার হাজার বাংলাদেশি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কোনোভাবেই তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আটকেপড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহযোগিতা নেয়া হয়। বিশেষ ফ্লাইটগুলোতে শুধুমাত্র বাংলাদেশিরাই ভ্রমণ করছেন। স্মরণ করা যায়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর আশপাশে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে বিমানের একটি স্পেশাল ফ্লাইট আজ দিল্লি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের করোনাভাইরাস মুক্ত কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলে অবশ্যই নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর যেসকল যাত্রীর কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নেই সেসকল যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা রয়েছে।