সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু তার উপরে আবার কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। আর এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা।
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে বৃহস্পতিবার (২৩ই এপ্রিল) বিকালে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আর এতে পাকা ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কমপক্ষে অর্ধশত ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে পাইশানার নবনির্মিত মারফত-জেরফন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ঝড়ে বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন। আর তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায় নি।
নাগরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ দুলাল জানিয়েছেন,”সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নাগরপুর উপজেলার পাইশানা গ্রামে। আর এখানে অনেক বাড়িঘর ভেঙে চুরমার হয়েছে। এতে দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ধানক্ষেতে ঘরের টিন পড়ে রয়েছে।”
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেছেন, “বৃহস্পতিবার (২৩ই এপ্রিল) বিকালে হঠাৎ ঝড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা বলরামপুর, ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদিয়া, কোদালিয়া, কাশিনারা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোলহাটে ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ব্রি-২৮ পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ব্রি-২৯ ধানের পাতার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আর আমরা অচিরেই ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করবো।”
নাগরপুর উপজেলার পাইশানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছি। এরমধ্যে ঝড়ে আমাদের পাকা ধান শেষ করে দিলো। আর এখন আমাদের কষ্টের শেষ নাই। এখন, না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।
পাইশানা গ্রামের শান্ত মিয়া জানিয়েছেন,”কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে দোকানপাটসহ প্রায় ৬০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আর অনেক গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদুৎ সংযোগ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।”
উল্লেখ্য যে, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ধান ক্ষেতের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারি সাহায্য কামনা করেছেন