করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে দেয়ায় তত দিন পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি সমন্বয় করা হবে এবং তা গনমাধ্যমকে জানানো হবে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল এবং ৩ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত ঘোষণা করা হলো। এর সাথে আগামী ১ ও ২ মে সাপ্তাহিক ছুটিও সংযুক্ত থাকবে।
তবে জরুরি পরিসেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা ও এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবে।
সড়ক ও নৌ পথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো, ভেসেল, প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ঔষধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) নিয়োজিত কর্মীরা এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। সূত্র : ইউএনবি