গাজীপুর: বাবা ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা। আফসার বাহিনীর প্রথম আস্ত্র যোগানদাতা আব্দুল হামিদ বেপারির একান্ত সহযোগী আব্দুল গফুর খান। মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর খানের ছেলে আল মাসুম খান শাহীন। মহামারি করোনা ভাইরাসের আক্রমনে মানুষ যখন ঘরবন্দি তখন বাবার আদর্শে অনুপাণিত পুত্র হিসেবে ক্ষুধার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান। যারা অনাহারে অর্থাহারে ঘরবিন্দ অবস্থায় আছেন, তাদের কাছে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন শাহীন। নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের বিত্তবানদের ঘরে ঘরে গিয়ে চেয়ে চেয়ে এনে এ পর্যন্ত ৬০টি পরিবারের ঘরে খাবার ও নগদ ১৭হাজার টাকা পৌছে দিয়েছেন তিনি।
শাহীন বলেন, এর কাছে ওর কাছে চেয়ে চেয়ে আনছি। পরে ৪কেজি চাল, ১কেজি পেয়াজ, ৩কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১কেজি লবণ, ১কেজি সয়াবিন তেল, ২৫০ সরিয়া তেল, ১টা সাবান প্যাকেট করে ৬০টা পরিবারের হাতে তোলে দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এই কাজটি করছি। এই মহতি কাজে তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আল মাসুম খান শাহীন গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানার বিত্তবানদের কাছে থেকে ফেসবুক মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরে স্বশরীরে হাজির হয়ে টাকা নিচেছন। তারপর কেনাকাটা করে রিক্সা করে তিনি ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। সহযোগতা করছেন। মানুষকে ঘুম থেকে ডেকে তুলো খাদ্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন আমার কিছু শিশু খাদ্য প্রয়োজন। আমার এই কাজটি প্রচারের জন্য কোন ছবি তুলি নাই।
সাধারণ মানুষ বলছেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে শাহীন যা করছেন, এটা তার বাবার আদর্শ থেকে প্রাপ্ত। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার বাবাও স্বাধীনতার জন্য একটি জাতীয় পতাাকর জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তাই বাবার রক্কের সন্তান আজ জেগে উঠেছে। এই মহতি উদ্যোগে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। একই সঙ্গে সারাদেশে এই প্রক্রিয়াকে মডেল করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় যাচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় আরো শাহীন বেরিয়ে আসলে আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।