বগুড়া: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় বগুড়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে বগুড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে এটি কার্যকর হবে। দুপুর পৌনে ২টায় জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলার সিভিল সার্জনের সুপারিশের আলোকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসকের চিঠিতে বলা হয়েছে লক ডাউন অবস্থায় মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে কোন যানবাহন চলাচল করবে না। বগুড়া জেলার কোন মানুষ আরেক জেলায় যেতে পারবে না, কেউ বগুড়া জেলায় প্রবেশ করবে না। তবে জরুরী পরিসেবা চালু থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বগুড়া জেলা অবরুদ্ধ থাকবে।
এর আগে আজ সকালে বগুড়ার সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বগুড়ায় আরেকজন করোনায় আক্রান্ত রোগীর খবর জানানো হয়।
আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার সাহেবপাড়ায়। তিনি ২৮ বছর বয়সী যুবক। পেশায় তিনি একজন ট্রাক চালক। নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করতেন। গত ১৪ এপ্রিল রাতে সান্তাহারে ফেরেন। সে সময় তার শরীরে জ¦র এবং কাশি ছিলো। অসুস্থতার কারণে ১৫ এপ্রিল তিনি আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থা দেখে তার নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেন। এরপর তার নমুনা ১৭ এপ্রিল রাজশাহীতে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। তার নমুনার রিপোর্ট আজ মঙ্গলবার সকালে হাতে পাওয়ার পর সান্তাহারের এই ব্যক্তিও করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হয় বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে ২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। এর আগে ১৬ এপ্রিল আদমদীঘি উপজেলার শাওইল গ্রামে এক পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ওই উপজেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন করোনা আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিৎ করে মানবজমিনকে জানান, বগুড়ায় আজ থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা নমূনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন এখানে ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।