পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী ফুলজান বিবির বাংলা জানুয়ারি ১৪, ২০১৫ ষ্টাফ রির্পোটার : গ্রাম বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমLeave a Comment on পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী চলমান অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিকে সক্রিয় না থাকলেও সারা দেশে এ কর্মসূচিতে এখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ওভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে শিবিরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে মাঠে নামতে বলা হয়েছে। ‘মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী’ এমন মন্ত্রে কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলাসহ নাশকতার ছক আঁকছেন তারা। সূত্র জানায়, সেজন্য ১০ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সরকারের হামলা-মামলা ও গণগ্রেফতার অভিযান উপেক্ষা করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আন্দোলন চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। জামায়াত নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দলকে এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বাঁচাতে হলে সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আর চলমান কর্মসূচিকেই কাজে লাগানো হবে। অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান শনিবার বলেছেন, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচিতে গোটা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। রাজধানী থেকে সব জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অথচ সরকার চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশব্যাপী জুলুম, নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের পক্ষ থেকে চলমান সংকট নিরসনের জন্য সরকারকে কার্যকর ও উদ্যোগী ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তা অগ্রাহ্য করে দেশব্যাপী দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নিপীড়ন যত বাড়বে জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলন ততই বৃদ্ধি পাবে এবং আন্দোলন আরও বেগবান হবে। সূত্রে জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে জামায়াতের। নতুন বছরের ৫ জানুয়ারির পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও আন্দোলনে গা বাঁচিয়ে চলছিল জামায়াত। কিন্তু ক্রমেই চলমান অবরোধ কর্মসূচি হালে পানি পাওয়ায় সুযোগ কাজে লাগাতে চাচ্ছে জামায়াত। এজন্য দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে আর বিরতি চাচ্ছে না জামায়াত। সংলাপ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়। সেজন্য মাঠে সক্রিয় নেতা-কর্মীদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে সব কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি মাঠে সক্রিয় থাকলে অসহযোগ আন্দোলন, ঘেরাও কিংবা সড়ক, রেল, নৌ পথ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছে। চলমান অবরোধে অব্যাহত জনদুর্ভোগের ফলে সাধারণ মানুষ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে তাও বিচার-বিশ্লেষণ করছেন জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার একে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এতে সংক্ষুব্ধ জনগণ অচিরেই সরকারের পদত্যাগে এক দফার আন্দোলনে নামবে বলে তাদের বিশ্বাস। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. রেজাউল করিম বলেন, চলমান আন্দোলন এখন কেবল ২০-দলীয় জোট তথা বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। এ আন্দোলন ক্রমে এক দফায় রূপ নিচ্ছে। তাই এখান থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রবিবার সরকারের বাধা-প্রতিবন্ধকতা, জুলুম-নির্যাতন ও গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে ২০-দলীয় জোটের ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে গণআন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share